Fun Paradise park faridpur

Fun Paradise Park Faridpur – ফান প্যারাডাইস পার্ক এ্যন্ড রিসোর্ট, ফরিদপুর বাসীর জন্য নির্মল বিনোদন কেন্দ্র ও আকর্ষনীয় স্থান। সবুজ শ্যামল অরণ্যের মাঝে হারিয়ে যেতে কার মন না চায় বলেন? ঠিক এই পার্কে গেলে আপনাকে হারিয়ে যেতে হবে গহীন সবুজ প্রকৃতির মাঝে যেখানে আপনি আপনার পরিবার-পরিজনদের নিয়ে ঘুরতে পারবেন শান্তিতে তাই মন স্থির করে ঘুরে আসতে পারেন। শত ব্যস্ততা শত কাজ ছেড়ে ঘুরে যেতে পারেন ফান প্যারাডাইস পার্কে। সব ব্যস্ততার ফাঁকে মনটাকে একটু সবুজের সমারহে কিছু সময় ব্যস্ত রাখতে চলে যেতে পারেন। তাই দেরি না করে ঘুরে আসুন ফান প্যারাডাইস পার্ক এ্যন্ড রিসোর্টে।

ফান প্যারাডাইস পার্ক, ফরিদপুর - Fun Paradise Park Faridpur

ফরিদপুর শহর থেকে ফান প্যারাডাইস পার্কটি প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে ধুলদি রেলগেট নামক স্থানে হাইওয়ের ঠিক পাশেই অবস্থিত। এই পার্কটি মামুন গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান। এটি ফরিদপুরের একটি পিকনিক স্পট হিসাবেও অনেকে জেনে থাকে। আর ভ্রমণ প্রেমীদের কাছে ফান প্যারাডাইস পার্ক টি ফরিদপুরের একটি মনোমুগ্ধকর টুরিস্ট স্পট (Faridpur Tourist Spot) হিসাবেও পরিচিত। শহরের বাইরে কোলাহলমুক্ত নির্জন পরিবেশে সময় কাটাতে চাইলে পরিবার পরিজন অথবা বন্ধু-বান্ধব নিয়ে চলে আসতে পারেন এই পার্কটিতে।

পুকুরের গেট

ফান প্যারাডাইস পার্কের বিস্তারিত

ফান প্যারাডাইস পার্কের অবস্থান ফরিদপুর শহর থেকে পার্কটি প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে ধুলদি রেলগেট, জয়দেবপুর, শিবরামপুর, ফরিদপুর নামক স্থানে হাইওয়ের ঠিক পাশেই অবস্থিত।
ফান প্যারাডাইস পার্কের আয়তন  ৪০ একরের মতো।
স্থাপিত ২০১৯
রাইড সংখ্যা ৫+
রাইড সমূহ ম্যাজিক বা সুইং বোট, সুইং চেয়ার, ফ্লাইং চেয়ার, ট্রেন, প্যাডেল বোট। পার্কটিতে রাইডের সংখ্যা খুবই কম।
বিভিন্ন স্থাপনা লেক, হাতি, বাঘ, সিংহ, জিরাফ, ড্রাগন, প্রজাপতি, পানির ফোয়ারা সহ বিভিন্ন ধরনের এইসব শিল্পকর্ম নান্দ্যনিক বিভিন্ন ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে পার্কটিতে।
পার্কের সময়সূচী সপ্তাহের ৭ দিন সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পার্কটি সকল বিনোদন প্রেমীদের জন্য উন্মুক্ত থাকে।
প্রবেশ টিকেটের মূল্য পার্কে জনপ্রতি প্রবেশের টিকেট মূল্য ৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
পার্কের প্রতিটি রাইড ফি জনপ্রতি ৫০ টাকা রাইড ফি।
যোগাযোগ fun.paradise2019@gmail.
+8801765-778432
+8801300262725
Train

রেলগাড়ি – ট্রেন

কিভাবে যাবেন

বাংলাদেশের যেকোন জায়গা থেকে আপনাকে প্রথমে ফরিদপুর আসতে হবে।

ঢাকার গাবতলী থেকে গোল্ডেন লাইন এবং সাউথ লাইন পরিবহনের বাস পাওয়া যায়। এসি ৬০০ টাকা এবং নন-এসি ৩৫০ টাকা ভাড়া। এদুটো বাস চেয়ার কোচ। এছাড়া নরমাল বাস রয়েছে সাউথ লাইন, কমফোর্ট লাইন, সুবর্ণ পরিবহণ। এই বাসে করে ফরিদপুর চলে যেতে পারবেন কোন ঝামেলা ছাড়াই। ফরিদপুর শহরের যে কোন স্থান থেকে রিক্সা কিংবা অটোতে করে পার্কে যাওয়া যায়। আর আপনি যদি ফরিদপুর পাটুরিয়া ঘাট হয়ে যান তবে ধুলদি রেলগেট ফান প্যারাডাইস পার্কের কথা বললে বাসের লোকজনই আপনাকে পার্কের সামনে নামিয়ে দিবে।

Magic or Sewing Boat

ম্যাজিক নৌকা

কোথায় থাকবেন

ফরিদপুরে যাওয়ার পর আপনারা যারা ভ্রমণকারীরা রয়েছেন তাদের থাকার জন্য রয়েছে বিভিন্ন আবাসিক হোটেল। ফরিদপুর নতুন ও পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এবং এর আশেপাশেই রয়েছে আবাসিক হোটেল গুলো। আবাসিক হোটেলের সর্বনিম্ন ভাড়া ২০০ টাকা সর্বোচ্চ ভাড়া ১৫০০ টাকা। আবাসিক হোটেল গুলোতে সকল ধরনের বেড মানে সিঙ্গেল ও ডাবল উভয় বেড রয়েছে। সরকারি কর্মকতা ও কর্মচারীদের জন্য রয়েছে সার্কিট হাউজ।

Swing Chair

সুইং চেয়ার

কোথায় খাবেন

ফরিদপুরে খাওয়ার জন্য বিভিন্ন মানের খাবার হোটেল পেয়ে যাবেন। ফরিদপুর বাস স্ট্যান্ড মানে ফরিদপুর শিশুপার্কের পাশেই কয়েকটি খাবার হোটেল রয়েছে। আর যদি একটু কষ্ট করে ফরিদপুর নিউ মার্কেটের কাছে চলে যান তবে পেয়ে যাবেন আরো অনেক হোটেল।

ফরিদপুর শহরের আশেপাশের দর্শনীয় স্থান

ফরিদপুরে শহরের আশেপাশের স্থান সমূহের মধ্যে ফরিদপুর শিশুপার্ক, পল্লী কবি জসিমউদ্দিনের বাড়ি, ধলার মোড় ও নদী গবেষনা ইনস্টিটিউট। ফরিদপুর জেলার অন্যান্য জায়গা ঘুরতে হলে আপনার হাতে কয়েক দিন সময় নিয়ে বেরিয়ে পড়তে হবে। তা না হলে সময়ের অভাবে আপনি সবগুলো জায়গা ঘুরে দেখতে পারবেন না।

ফরিদপুর জেলার অন্যান্য ভ্রমণ স্থান সমূহঃ

ফরিদপুরে যাওয়ার পর ভ্রমণকারীর জন্য রয়েছে আরো বেশ কিছু দর্শনীয় ও ঐতিহাসিক স্থান সমূহ –

১. পল্লী কবি জসিমউদ্দিনের বাড়ি

২. ধলার মোড় (পদ্মার পাড়)

৩. ফরিদপুর পৌর শেখ রাসেল শিশুপার্ক

৪. নদী গবেষনা ইনষ্টিটিউট

৫. হযরত শাহ ফরিদ মসজিদ

৬. জগদ্বন্ধু সুন্দর এর আশ্রম

৭. সাতৈর মসজিদ, বোয়ালমারি

৮. মথুরাপুরের দেউল

৯. পাতরাইল মসজিদ

১০. টিটা ভাসমান সেতু

১১. বাইশ রশি জমিদার বাড়ি 

Share this post