faridpur shishu park

ফরিদপুর পৌর শেখ রাসেল শিশুপার্ক (Faridpur Poura Sheikh Rasel Shishu Park) ফরিদপুর বাসীর নির্মল বিনোদন কেন্দ্র ও আকর্ষনীয় স্থান। ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামট এলাকায় ১৪ একর জমির উপর ওয়ান্ডারল্যান্ড ও পৌরসভার যৌথ উদ্যোগে এ ফরিদপুর শিশু পার্ক (Faridpur Shishu Park) নির্মনা করা হয়। এই বিনোদন কেন্দ্রটি শুধু দেশের শ্রেষ্ঠ পার্কই নয় বরং এটি বিশ্বমানের একটি বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি । এটি ফরিদপুর পিকনিক স্পট হিসাবেও অনেকে জেনে থাকে। আর ভ্রমণ প্রেমীদের কাছে ফরিদপুর টুরিস্ট স্পট (Faridpur Tourist Spot) হিসাবেও পরিচিত।

ফরিদপুর পৌর শেখ রাসেল শিশুপার্ক – Faridpur Shishu Park

ফরিদপুর জেলা বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের একটি জেলা ও প্রশাসনিক অঞ্চল। ফরিদপুর জেলার অবস্থান বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলে। জেলা শহর অবস্থিত বর্তমানে কুমার নদীর তীরে। এটি বাংলাদেশের আয়তনের ২০৭২.৭২ বর্গ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে রয়েছে। সিটি করপোরশনের দিক দিয়ে ফরিদপুর ১২তম । এ জেলা প্রতিষ্ঠা হয় ১৭৮৬ সালে ও মতান্তরে ১৮১৫ সালে প্রতিষ্টিত হয়।  এর নামকরণ হয় প্রখ্যাত সুফি সাধক শাহ শেখ ফরিদুদ্দিনের নাম অনুসারে। ফরিদপুর জেলার পূর্ব নাম ছিল ফতেহাবাদ। ১৭৮৬ সালে এর নাম ছিল জালালপুর। ফরিদপুর জেলায় মোট ৬টি পৌরসভা, ওয়ার্ড এর সংখ্যা ৩৬টি, মহল্লা রয়েছে ৯২টি, ইউনিয়ন আছে ৮১টি, গ্রাম রয়েছে ১৮৮৭টি। মোট উপজেলার সংখ্যা ৯টি।

ফরিদপুর পৌর শেখ রাসেল শিশুপার্কের বিস্তারিত

শেখ রাসেল পার্কের অবস্থান ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামট
ফরিদপুর শিশুপার্কের আয়তন ১৪ একর
স্থাপিত ২০১৪
রাইড সংখ্যা ৩০+
রাইড সমূহ ট্রেন, ভূতুরে গুহা, ওয়ান্ডার হুইল, সুইং কেয়ার, প্যারাট্যুপার, বোট।
বিভিন্ন স্থাপনা লেক, মিনি চিড়িয়াখানা, ভিডিও গেমস, ফুড কর্ণার এবং পিকনিক স্পট, আইফেল টাওয়ার, স্ট্যাচু অব লিবার্টির রেপ্লিকা, ডায়নোসর এবং পান্ডা সহ নান্দ্যনিক বিভিন্ন ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে পার্কটিতে।
মিনি চিড়িয়াখানায় আছে হরিণ, খরঘোস, বানর, ময়ুর সহ দেশি বিদেশি নানা জাতের পশুপাখি।
পার্কের সময়সূচী সপ্তাহের ৭ দিন সকাল ১০ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত পার্কটি সকল বিনোদনপ্রেমীদের জন্য উন্মুক্ত থাকে।
প্রবেশ টিকেটের মূল্য ফরিদপুর পৌর শেখ রাসেল শিশুপার্কের জনপ্রতি প্রবেশের টিকেট মূল্য ৫০ টাকা হলেও প্রবেশ মূল্যের সাথে মিনি চিড়িয়াখানার টিকেটের মূল্য ২০ টাকা যুক্ত করে প্রবেশ মূল্য ৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
পার্কের প্রতিটি রাইড ফি জনপ্রতি ৪০ টাকা খরচ।
যোগাযোগ ০১৭১১২২২৯৬৮

 

কিভাবে যাবেন

ঢাকার গাবতলী থেকে গোল্ডেন লাইন এবং সাউথ লাইন পরিবহনের বাস পাওয়া যায়। এসি ৬০০ টাকা এবং নন-এসি ৩৫০ টাকা ভাড়া। এদুটো বাস চেয়ার কোচ। এছাড়া নরমাল বাস রয়েছে সাউথ লাইন, কমফোর্ট লাইন, সুবর্ণ পরিবহণ। এই বাসে করে ফরিদপুর চলে যেতে পারবেন কোন ঝামেলা ছাড়াই। ফরিদপুর শহরের যে কোন স্থান থেকে রিক্সা কিংবা অটোতে করে ফরিদপুর পৌর শেখ রাসেল শিশুপার্ক (faridpur shishu park) যাওয়া যায়। ফরিদপুর বাস টার্মিনালের পাশেই ফরিদপুর পৌর শেখ রাসেল শিশুপার্কের অবস্থান।

কোথায় থাকবেন

ফরিদপুরে যাওয়ার পর ভ্রমণকারীর থাকার জন্য রয়েছে বিভিন্ন আবাসিক হোটেল। ফরিদপুর বাসস্ট্যান্ড এবং এর আশেপাশেই রয়েছে আবাসিক হোটেল গুলো। আবাসিক হোটেলের সর্বনিম্ন ভাড়া ৮০ টাকা সর্বোচ্চ ভাড়া ৯০০ টাকা। আবাসিক হোটেল গুলোতে সিঙ্গেল ও ডাবল উভয় বেড রয়েছে। সরকারি কর্মকতা ও কর্মচারীদের জন্য রয়েছে সার্কিট হাউজ।

কোথায় খাবেন

ফরিদপুরে খাওয়ার জন্য বিভিন্ন মানের খাবার হোটেল পেয়ে যাবেন। ফরিদপুর বাস স্ট্যান্ড মানে ফরিদপুর শিশুপার্কের পাশেই কয়েকটি খাবার হোটেল রয়েছে। আর যদি একটু কষ্ট করে ফরিদপুর নিউ মার্কেটের কাছে চলে যান তবে পেয়ে যাবেন আরো অনেক হোটেল।

ফরিদপুর শহরের আশেপাশের দর্শনীয় স্থান

ফরিদপুরে শহরের আশেপাশের স্থান সমূহের মধ্যে ফরিদপুর শিশুপার্ক, পল্লী কবি জসিমউদ্দিনের বাড়ি, ধলার মোড়, ফান প্যারাডাইস পার্ক ও নদী গবেষনা ইনস্টিটিউট। ফরিদপুর জেলার অন্যান্য জায়গা ঘুরতে হলে আপনার হাতে কয়েক দিন সময় নিয়ে বেরিয়ে পড়তে হবে। তা না হলে সময়ের অভাবে আপনি সবগুলো জায়গা ঘুরে দেখতে পারবেন না।

ফরিদপুর জেলার অন্যান্য ভ্রমণ স্থান সমূহঃ

ফরিদপুরে যাওয়ার পর ভ্রমণকারীর জন্য রয়েছে আরো বেশ কিছু দর্শনীয় ও ঐতিহাসিক স্থান সমূহ –

১. পল্লী কবি জসিমউদ্দিনের বাড়ি

২. ধলার মোড় (পদ্মার পাড়)

৩. ফান প্যারাডাইস পার্ক

৪. নদী গবেষনা ইনষ্টিটিউট

৫. হযরত শাহ ফরিদ মসজিদ

৬. জগদ্বন্ধু সুন্দর এর আশ্রম

৭. সদরপুর সাতৈর মসজিদ

৮. মথুরাপুরের দেউল

৯. পাতরাইল মসজিদ

১০. টিটা ভাসমান সেতু

১১. বাইশ রশি জমিদার বাড়ি 

Share this post