![niribili_park niribili park](https://www.worldtravelbd.com/wp-content/uploads/2024/07/niribili_park.webp)
নিরিবিলি পিকনিক স্পট Niribili Picnic Spot ১৯৯১ সালে প্রকৌশলী সৈয়দ মফিজুর রহমান প্রতিষ্ঠা করেন লোহাগড়া উপজেলার রামপুর গ্রামে ৫০ একর জায়গার উপর। পিকনিক, নিরিবিলি সময় কাটাতে, কর্পোরেট সেমিনার অথবা বাচ্চাদের সময় কাটানোর সবথেকে উপযুক্ত স্থান। এছাড়া এখানের হোটেল নিরিবিলি তে আছে চাহিদা অনুযায়ী যে কোনো ক্যাটাগরির রুমে পরিবারকে নিয়ে সময় কাটানোর ব্যবস্থা।
নিরিবিলি পিকনিক স্পট, নড়াইল – Niribili Picnic Spot, Narial
মিনি চিড়িয়াখানায় স্থান পেয়েছে হরিণ, কুমির, ভাল্লুক, অজগর, পেলিকন পাখিসহ নানা প্রজাতির প্রাণী। এছাড়া রয়েছে একটি তিমি মাছের কঙ্কাল যার দৈর্ঘ্য ৭০ ফুট লম্বা। শোভাবর্ধনের জন্য নিরিবিলি পিকনিক স্পটে স্থাপন করা হয়েছে কাজী নজরুল ইসলাম, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরসহ বিভিন্ন বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ ও প্রাণীর ভাস্কর্য।
![niribili-picnic-spot niribili-picnic-spot](https://www.worldtravelbd.com/wp-content/uploads/2024/07/niribili-picnic-spot.webp)
নিরিবিলি পিকনিক স্পট পার্কের বিস্তারিত
নিরিবিলি পিকনিক স্পট পার্কের অবস্থান | নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার রামপুর গ্রাম নামক স্থানের ঢাকা নড়াইল হাইওয়ের ঠিক পাশেই অবস্থিত। |
নিরিবিলি পার্কের আয়তন | ৫০ একরের মতো। |
স্থাপিত | ১৯৯১ |
রাইড সংখ্যা | ৬+ |
রাইড সমূহ | ম্যাজিক বা সুইং বোট, সুইং চেয়ার, নাগরদোলা, ট্রেন, প্যাডেল বোট, ক্যাবল কার। পার্কটিতে রাইডের সংখ্যা খুবই কম। |
বিভিন্ন স্থাপনা | লেক, হাতি, বাঘ, সিংহ, জিরাফ, ড্রাগন, প্রজাপতি, পানির ফোয়ারা সহ বিভিন্ন ধরনের এইসব শিল্পকর্ম নান্দ্যনিক বিভিন্ন ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে পার্কটিতে। |
পার্কের সময়সূচী | সপ্তাহের ৭ দিন সকাল ৯ টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত পার্কটি সকল বিনোদন প্রেমীদের জন্য উন্মুক্ত থাকে। |
প্রবেশ টিকেটের মূল্য | পার্কে জনপ্রতি প্রবেশের টিকেট মূল্য ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। |
পার্কের প্রতিটি রাইড ফি | জনপ্রতি ৫০ টাকা রাইড ফি। |
পার্কে কার পার্কিং ফি | প্রাইভেট কার ৫০০ টাকা, মাইক্রোবাস ও পিক-আপ ভ্যান ১০০০ টাকা, বাস ২০০০ টাকা। |
পিকনিক স্পট ফি | পিকনিক স্পট ফি ৫০০ টাকা। |
যোগাযোগ | niribili797@gmail.com +8801711-074085 +8801575200049 |
![Paddle_Boat Paddle_Boat](https://www.worldtravelbd.com/wp-content/uploads/2024/07/Paddle_Boat-1.webp)
নিরিবিলি পার্ক কিভাবে যাবেন
বাংলাদেশের যেকোন জায়গা থেকে খুব সহজেই আপনি নড়াইলের লোহাগড়ের এই নিরিবিলি পিকনিক স্পট পার্কে আসতে পারবেন। নড়াইল সদরে থেকে লক্ষীপাশা বাসস্ট্যান্ডের দিকে কিছুটা এগিয়ে গেলে পৌঁছে যাবেন নিরিবিলি পিকনিক স্পট।
রাজধানী ঢাকা থেকে মাওয়া এবং কালনা ফেরীঘাট হয়ে লোহাগড়া পেরিয়ে এক কিলোমিটার সামনে এগুলেই নিরিবিলি পিকনিক স্পটের প্রবেশ পথ দেখতে পাবেন।
ঢাকার গাবতলী থেকে পদ্মা সেতু হয়ে গোপালগঞ্জ, পিরোজপুর, নড়াইল, যশোর ও খুলনা লাইনে অসংখ্য পরিবহনের বাস পাওয়া যায়। গাবতলী থেকে নড়াইলগামী বাসের মধ্যে হানিফ এন্টারপ্রাইজ, সাদ সুপার ডিলাক্স ও ঈগল পরিবহন উল্লেখ্যযোগ্য। এসি ৭০০ থেকে ১২০০ টাকা এবং নন-এসি ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকা ভাড়া। এছাড়া নরমাল বাস রয়েছে সাউথ লাইন, কমফোর্ট লাইন, সুবর্ণ পরিবহণ। এই বাসে করে চলে যেতে পারবেন কোন ঝামেলা ছাড়াই। যদি আপনারা নড়াইল ও যশোর এর বাসে যান তবে পার্কের সামনের হাইওয়েতে নেমে খুব সহজেই পায়ে হেটে পার্কে চলে যেতে পারবেন। আর যদি গোপালগঞ্জ, পিরোজপুর ও খুলনার বাসে উঠেন তবে আপনাকে ভাটিয়াপাড়া গোল চত্তরে নামতে হবে ওখান থকে লোকাল গাড়ি বা অন্যান্য যানবাহন পেয়ে যাবেন পার্কে যাওয়ার জন্য।
কোথায় থাকবেন
নিরিবিলি পিকনিক স্পট পার্কে যাওয়ার পর, আপনারা যারা ভ্রমণকারীরা রয়েছেন তাদের থাকার জন্য রয়েছে পার্কের ভিতরেই আবাসিক হোটেল। আবাসিক হোটেলের সর্বনিম্ন ভাড়া ১০০০ টাকা, সর্বোচ্চ ভাড়া ৫০০০ টাকা। আবাসিক হোটেল গুলোতে সকল ধরনের বেড মানে এসি ও নন-এসি সিঙ্গেল ও ডাবল উভয় বেড রয়েছে। এখানে আশে পাশে কোন আবাসিক হোটেল নেই। তবে আপনারা চাইলে লোহাগড়া বাজারে আবাসিক হোটেল পেতে পারেন। এছাড়াও নড়াইল সদরে যেয়ে আবাসিক হোটেলে থাকতে পারবেন তবে পার্ক থেকে নড়াইল সদরের দূরত্ব অনেক বেশি।
কোথায় খাবেন
পার্কের ভিতরে খাওয়ার জন্য খাবার ব্যবস্থা রয়েছে। আর যদি একটু কষ্ট করে লোহাগড়া বাজারের চলে যান তবে পেয়ে যাবেন বিভিন্ন মানের অনেক হোটেল।
নড়াইল এর আশেপাশের দর্শনীয় স্থান
নড়াইল শহরের আশেপাশের ভ্রমণ স্থান সমূহের মধ্যে স্বপ্নবীথি পিকনিক স্পট, চিত্রা রিসোর্ট, অরুনিমা ইকো পার্ক ইত্যাদি। নড়াইল জেলার অন্যান্য জায়গা ঘুরতে হলে আপনার হাতে কয়েক দিন সময় নিয়ে বেরিয়ে পড়তে হবে। তা না হলে সময়ের অভাবে আপনি সবগুলো জায়গা ঘুরে দেখতে পারবেন না।
নড়াইল জেলার অন্যান্য ভ্রমণ স্থান সমূহঃ
নড়াইল যাওয়ার পর ভ্রমণকারীর জন্য রয়েছে আরো বেশ কিছু দর্শনীয় ও ঐতিহাসিক স্থান সমূহ –
১. স্বপ্নবীথি পিকনিক স্পট
২. চিত্রা রিসোর্ট
৩. অরুনিমা ইকো পার্ক
৪. বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ নূর মোহাম্মাদ শেখ কমপ্লেক্স
৫. সুলতান কমপ্লেক্স
৬. নীহার-রঞ্জন গুপ্তের বাড়ি