কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত

বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমুদ্র সৈকত কোথায় অবস্থিত? বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমুদ্র সৈকত বাংলাদেশের কক্সবাজারে অবস্থিত। যা আমাদের কাছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত হিসাবে পরিচিত। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত কত কিলোমিটার? কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের দৈর্ঘ্য ১২০ কিলোমিটার। এই সৈকত পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত। Cox’s Bazar Sea Beach শুধু দীর্ঘতম সৈকতই নয়, এই পুরো সৈকত জুড়ে কোয়ায় আপনি কাদার অস্তিত্ব খুঁজে পাবেন না। কারন পুরোটা সৈকত বালুকাময় সমুদ্র সৈকত।

Contents hide
1 কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত

কক্সবাজার বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত একটি শহর, মৎস্য বন্দর এবং পর্যটন কেন্দ্র। এটি চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার জেলার সদর দপ্তর। কক্সবাজার তার নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যের জন্য বিখ্যাত। এখানে রয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম অবিচ্ছিন্ন প্রাকৃতিক বালুময় সমুদ্র সৈকত, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে রয়েছে বাংলাদেশের বৃহত্তম সামুদ্রিক মৎস্য বন্দর এবং সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত কে কি বলা হয়

একসময় কক্সবাজার পানোয়া নামেও পরিচিত ছিল যার আক্ষরিক অর্থ হচ্ছে হলুদ ফুল। এর আরো একটি প্রাচীন নাম হচ্ছে পালঙ্কি। সারি সারি ঝাউবন, পাহাড়, ঝর্ণা, বালুর বিছানা পুরো সমুদ্র সৈকত জুড়ে। নীল জলরাশি আর শোঁ শোঁ গর্জনে মনোমুগ্ধকর বঙ্গোপসাগরের আরেক নাম  কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত।

এছাড়া কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত সাগরের পাড়ে তৈরি করা মেরিন ড্রাইভ আপনার কক্সবাজার ভ্রমণকে আরো বেশি আনন্দময় করে তুলবে। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ভ্রমণের সাথে দেখে নিতে পারেন বাংলাদেশের একমাত্র কোরাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন, ছেড়া দ্বীপ, লাইট হাউজের দ্বীপ কুতুবদিয়া, সোনাদিয়া দ্বীপ, ডুলহাহারা সাফারি পার্ক, মাতার বাড়ি, শাহপরীর দ্বীপ ও একই সাথে দেখে নিতে পারেন বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপ মহেশখালী দ্বীপ।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত নামকরণের ইতিহাস

ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ক্যাপ্টেন হিরাম কক্স নামে এক অফিসারের নাম থেকে এসেছে কক্সবাজার নামটি। পালংকি ছিল কক্সবাজারের আগের নাম। ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধ্যাদেশ, ১৭৭৩ জারি হয় তারপর ওয়ারেন্ট হোস্টিং বাংলার গভর্নর হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। তখন হিরাম কক্স পালংকির মহাপরিচালক নিযুক্ত হন। ক্যাপ্টেন কক্স আরাকান শরণার্থী এবং স্থানীয় রাখাইনদের মধ্যে বিদ্যমান হাজার বছরের পুরোনো সংঘাত নিরসনের চেষ্টা করেন এবং শরণার্থীদের পুনর্বাসনে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি সাধন করেন কিন্তু কাজ পুরোপুরি শেষ করার আগেই মারা (১৭৯৯) যান। তার পুনর্বাসন অবদানকে স্মরণীয় করে রাখতে একটি বাজার প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং এর নাম কক্স সাহেবের বাজার দেয়া হয়। ১৮৫৪ সালে কক্সবাজার থানা প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৮৬৯ সালে পৌরসভা গঠিত হয়। 

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এর দর্শনীয় স্থান

১. লাবনী পয়েন্ট

২. কলাতলী বীচ

৩. সুগন্ধা বীচ

৪. হিমছড়ি বীচ, পাহাড়, ঝর্ণা

৫. ইনানী পাথুরে বীচ

৬. মেরিন ড্রাইভ

৭. পাটুয়ারটেক বীচ

৮. নাইক্ষ্যংছড়ি লেক ও ঝুলন্ত ব্রীজ

৯. রামু বৌদ্ধ বিহার

১০. রামু রাবার গার্ডেন

১১. ডুলহাজরা সাফারি পার্ক

১২. ফিশ একুরিয়াম

লাবনী পয়েন্ট

কক্সবাজার শহর থেকে কাছে হবার কারনে লাবনী পয়েন্ট কক্সবাজারের অন্যতম সমুদ্র সৈকত হিসাবে বিবেচিত হয়। এই সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে অনেক ধরনের ছোট বড় দোকান যা পর্যটকদের জন্য বাড়তি আকর্ষণের কারন।

কলাতলী বীচ

কলাতলী বীচের অবস্থান লাবনী ও সুগন্ধা বীচের মাঝামাঝি অবস্থানে। আপনারা লাবনী থেকে সুগন্ধা বীচে সমুদ্রের পাড় ধরে যেতে হলে আপনাকে এই কলাতলী বীচ হয়ে যেতে হবে।

 

সুগন্ধা বীচ

কলাতলী বীচের উত্তরে সুগন্ধা বীচ অবস্থিত। এর পাশেই একটি বিখ্যাত বার্মিজ মার্কেট রয়েছে। এখানে সামুদ্রিক রেস্তোরাঁ ছিল যা উচ্ছেদ করা হয়েছে। সুগন্ধা বিচে লোকের সমাগম অনেক বেশি হয় এটার কারন মেইন রোড থেকে সরাসরি বিচে এসে রাস্তা মিশেছে।

 

হিমছড়ি

হিমছড়ি কক্সবাজারের ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত। কক্সবাজার থেকে হিমছড়ি যাওয়ার পথে বামদিকে সবুজঘেরা পাহাড় আর ডান দিকে সমুদ্রের নীল পানিতে আপনি মুগ্ধ হতে বাধ্য। হিমছড়ি পাহাড় আর ঝর্ণার জন্য পর্যটদের কাছে জনপ্রিয়। হিমছড়ি পাহাড়ে উঠার জন্য রয়েছে কয়েকশ সিড়ি। পাহাড় থেকে সমুদ্র ও নিচের গ্রাম দেখতে অনেক মনোমুগ্ধকর। আর বর্ষার সময়ে হিমছড়ির ঝর্ণাকে আরো বেশি প্রাণবন্ত ও জীবন্ত দেখতে পাবেন যা আপনাকে আরো মুগ্ধ করবে।

ইনানী সমুদ্র সৈকত

ইনানী সমুদ্র সৈকতের অবস্থান হিমছড়ির দক্ষিণে এবং কক্সবাজার থেকে ৩৫ কিলোমিটার দিক্ষণে অবস্থিত। ইনানী পৌছাতে আপনাদের সময় লাগবে ৩০ মিনিট এর কাছাকাছি। পাথর বিছানো থাকায় ইনানী সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য আরো অনেক অনেক গুন বেড়ে গেছে। পানি অন্য বীচের তুলনায় একটু বেশি পরিষ্কার হওয়ায় পর্যটকদের কাছে সমুদ্রস্নাদের জন্য উৎকৃষ্ট সৈকত বলে বিবেচিত।

 

পাটুয়ারটেক সী বিচ

পর্যটন নগরীর শহর কক্সবাজার থেকে ৩১ কিলোমিটার দক্ষিণে পাটুয়ারটেক অবস্থিত যাকে কিনা পাথর রাণী সী-বিচ ও বলা হয়ে থাকে। যার পাশ দিয়ে সবুজ পাহাড়, বন-জঙ্গল, ফসলের মাঠ বয়ে চলছে যা গ্রামীণ জনপদের রুপ কে অপরূপ দৃশ্যে পরিণত করেছে। ঠিক তার বিপরীত পাশে অকুল দরিয়া বঙ্গোপসাগরের ঢেউয়ের গর্জন।

কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ 

কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি সড়ক, যা বঙ্গোপসাগর এর পাশ দিয়ে কক্সবাজারের কলাতলী সৈকত থেকে টেকনাফ পর্যন্ত বিস্তৃত। এটি বর্তমানে পৃথিবীর দীর্ঘতম মেরিন ড্রাইভ সড়ক। ২০১৭ সালের ৬ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটি উদ্বোধন করেন।

নাইক্ষ্যংছড়ি লেক ও ঝুলন্ত ব্রীজ

কক্সবাজার শহর থেকে সরাসরি গাড়ি করে নাইক্ষ্যংছড়ি যাওয়া যায়। কক্সবাজার থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা ২৮ কিলোমিটার দূরত্বের পথ এবং দিনের মধ্যেই ঘুরে চলে আসতে পারবেন। নাইক্ষ্যংছড়ি লেক আসলেই একটি প্রাকৃতিক জলাশয়। পাহাড়ের পাদদেশে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপূর্ব সমাহার। এখানে রয়েছে একটি ঝুলন্ত ব্রীজ যার সাহায্যে এর উপর দিয়ে লেকের এপাড় থেকে ওপাড় যাওয়া যায়।

কক্সবাজারে এক্টিভিটি যা আপনি করতে পারবেনঃ

১. স্পীডবোট- ভাড়া এক রাউন্ড ১০০ টাকা। এছাড়া লাইফ বোটে জনপ্রতি ভাড়া ২৫০ টাকা দিয়ে আপনি খোলা স্পীডবোডের সাহায্যে ঘুরতে পারবেন।

২. বীচ বাইক- ৫০ টাকা রাউন্ড প্রতি, প্রায় ১ কিলোমিটার দূরত্বে তিন চাকার বাইকে করে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বেশ কয়েকটি বীচ ঘুরে দেখতে পারবেন এই বিচ উপযোগী বাইকে।

৩. প্যারাসেইলিং নামের অ্যাডভেঞ্চারে করে পর্যটক আকাশ থেকে দেখতে পারেন সমুদ্র ও পাহাড়ের নৈসর্গিক সৌন্দর্য। তিনটি প্যাকেজ আছে এখানে। ১৫শ টাকার নরমাল রাইডে রয়েছে শুধুই ওড়া। উড়তে উড়তে সাগরের মধ্যে ১ বার পা ভিজিয়ে ফের উপরে ওড়তে পারার সুযোগ রয়েছে ২ হাজার টাকার সুপার রাইডে। আর ২ বা পা ভেজানোর জন্য আপনাকে উঠতে হবে ২৫শ টাকার সুপার-ডুপার রাইডে।

৪. বীচ ফটোগ্রাফি- তুলতে পারবেন আপনারা মনোমুগ্ধকর ছবি। তবে ফটোগ্রাফি করার আগে অবশ্যই দামাদামি করে নিবেন। আর ১ টা ছবির কথা বলে ওরা একই জায়গার ৮/১০ ছবি তুলে ফেলবে আর টাকা দাবি করবে। তাই সাবধান ভাড়াটা ফটোগ্রাফার থেকে।

কক্সবাজার যাওয়ার উপায় এবং ভাড়া

ঢাকা থেকে কক্সবাজার (বাস গাড়ীতে)-

ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত সরাসরি গাড়ী রয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের প্রায় সব শহর থেকেই কক্সবাজার বাস সার্ভিস আছে। যেমনঃ চট্রগ্রাম, সিলেট, রংপুর, খুলনা, যশোর ইত্যাদি। ঢাকা থেকে এসি ও নন এসি গাড়ী রয়েছে কয়েকটি কোম্পানির। নন এসির মধ্যে রয়েছে শ্যামলী, টিআর, হানিফ, ইউনিক, এস আলম, সৌদিয়া ইত্যাদি যার ভাড়া পড়বে ৮০০-১০০০ টাকা। আর এসি বাস রয়েছে গ্রীন লাইন, সৌদিয়া, দেশ ট্রাভেলস, সোহাগ, টিআর ইত্যাদি যার ইকোনমি ক্লাসের ভাড়া পড়বে ১৬০০ এবং বিজনেস ক্লাসে ২০০০। ১২ থেকে ১৪ ঘন্টার মত সময় লাগতে পারে। 

চট্রগ্রাম থেকে কক্সবাজার (বাস গাড়ীতে)-

আর চট্রগ্রাম থেকে প্রতি ঘন্টায় লোকাল ও ডিরেক্ট গাড়ী পেয়ে যাবেন। লোকাল গাড়ী ভাড়া ১৫০-২০০ টাকা, ডিরেক্ট গাড়ী ভাড়া ৩৫০-৪০০ টাকা।

ট্রেনে কক্সবাজার

ট্রেনে আপনি সরাসরি কক্সবাজার যেতে পারবেন না। সেক্ষেত্রে ঢাকা থেকে সুবর্ন এক্সপ্রেস, তূর্ণা-নিশীথা, মহানগর প্রভাত/গোধূলী, মেইল ট্রেন রয়েছে। ট্রেনের সময়সূচী ও ভাড়া জানতে রেলওয়ের ওয়েব সাইট ভিজিট করুন। চট্রগ্রাম রেল স্টেশনে নেমে সামনেই রাস্তার বিপরীতে পেয়ে যাবেন বিআরটিসির বাস যাতে করে কক্সবাজার যেতে পারবেন। অথবা ওখান থেকে আপনাকে সিএনজি নিয়ে নতুন ব্রীজ/দামপাড়া যেয়ে কক্সবাজারের গাড়ীতে উঠতে হবে।

বিমানে কক্সবাজার

যার বিমানে যেতে চান তাদেরকে ওয়ান ওয়ে ভাড়া গুনতে হবে ৫০০০ টাকা। রিটার্ণ ভাড়া ৮,০০০- ১২,০০০ টাকা। ইউএস বাংলা, বাংলাদেশ বিমান ও নোভো এয়ার বিমানে করে যেতে পারবেন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত।

কক্সবাজার ভ্রমণের উপযুক্ত সময়

কক্সবাজারের ভ্রমণের উপযুক্ত সময় অক্টোবর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত। এই সময়টাকে পিক সিজন বলা হয়, এর কারণ এ সময় বৃষ্টি কম হয় এবং গরম কম থাকে। ফলে পর্যটকদের ভীড় বেশি হয়ে থাকে। তাই এই সময়ে ভ্রমণের প্ল্যান করলে অবশ্যই আগে থেকে হোটেল বুকিং দেওয়া ভালো।

কক্সবাজার থাকার হোটেল এবং রিসোর্ট

কক্সবাজারে রয়েছে আন্তর্জাতিকমানের বেশ কয়েকটি হোটেল, মোটেল ও রিসোর্ট। যার ধারণ ক্ষমতা প্রায় দেড় লাখ। ডিসেম্বরের শেষ দিকে ও নতুন বছরের শুরুতে হোটেল বুকিং দিয়ে যাওয়াটা ভালো, তা না হলে একটু সমস্যায় পড়তে পারনে। তাছাড়া অন্য সময়ে কোন সমস্যা নেই বরং অফসিজনে হোটেল ভাড়া অর্ধেকেও বেশী কমে যায়। তবে সেটা অন্যের কথা না শুনে নিজেই একটু কথা বলে নিলেই ভালো হবে।

বিলাসবহুল হোটেল এবং রিসোর্ট

হেরিটেজ, ওশেন প্যারাডাইজ, লং বীচ, সায়মন বীচ রিসোর্ট, কক্স টুডে, মারমেইড বীচ রিসোর্ট ইত্যাদি বিলাসবহুল হোটেল এবং রিসোর্ট রয়েছে যার ভাড়া ৬,০০০ টাকা থেকে ৩০,০০০ টাকা পর্যন্ত। তবে অফ সিজনে এই ভাড়া ৩০-৬০% কমে থাকে।

মাঝারি মানের হোটেল

সী ক্রাউন, সী প্যালেস, সী গাল, বীচ ভিউ, কোরাল রীফ, আইল্যান্ডিয়া, ইউনি রিসোর্ট, নিটোল রিসোর্ট, মারমেইড রিসোর্ট ইত্যাদি মাঝারি মানের হোটেল ও রিসোর্ট রয়েছে যার ভাড়া ৩,০০০ থেকে ৬,০০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। তবে অফ সিজনে এই ভাড়া ৩০-৬০% কমে থাকে।

বাজেট হোটেল

অভিসার, মিডিয়া ইন, কল্লোল, কোরাল রীফ, উর্মি গেস্ট হাউজ, নীলিমা রিসোর্ট, হানিমুন রিসোর্ট, ইকরা বিচ রিসোর্ট ইত্যাদি যার ভাড়া ৫০০-৩,০০০ পর্যন্ত।

আপনি যদি বড় পরিবার নিয়ে যান তবে হোটেলের পাশাপাশি কিছু ফ্ল্যাটও ভাড়া পেয়ে যাবেন। এ ধরনের ফ্ল্যাটে রয়েছে এসি/নন এসি  ২/৩/৪ বেড রুম ও রান্নাঘরও পেয়ে যাবেন। ভাড়া পড়বে ২,০০০-১৫,০০০ টাকা প্রতিদিন।

সমুদ্রে নামার ক্ষেত্রে সতর্কতা

সমুদ্রে নামার আগে অবশ্যই জোয়ার-ভাটার সময় জেনে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে নামতে হবে। যেকোন সমুদ্র সৈকতে নামার সময়ে ও জোয়ার-ভাটার সময় জেনে নামা উচিত। কিভাবে বুঝবেন কখন জোয়ার বা কখন ভাটার সময়, এ সম্পর্কিত ইয়াছির লাইফ গার্ডের বেশ কয়েকটি পতাকা ও সাইনবোর্ড রয়েছে বিচের বিভিন্ন স্থানে।
জোয়ারের সময় সমুদ্রে গোসলে নামা নিরাপদ তাই এ সময়ে সবুজ পতাকা ওড়ানো হয়, জোয়ারের সময় বুঝাতে।
ভাটার সময়ে সমুদ্রে গোসলে নামা বিপদজনক কারন ভাটার টানে মুহূর্তেই হারিয়ে যেতে পারে যে কেউ। তাই এ সময় বিচ এলাকায় ওড়ানো হয় লাল পতাকা যাতে লেখা থাকে ভাটার সময়। তাই এই সময়ে বীচে নামবেন না আর নামলে লাইফ গার্ডের সহায়তা নিন এবং কোনোভাবেই বেশি দূরে যাবেন না।
যেকোনো বিপদে কল করুন ট্যুরিস্ট পুলিশকে ০১৭৬৯৬৯০৭৪০

Share this post