World Travel Bangladesh
চলুন ঘুরে দেখি বিশ্ব, নানান রূপের দৃশ্য।
Top Destination in Bangladesh (Natural)
সাজেক ভ্যালি - রাঙ্গামাটি
সাজেক ভ্যালি বা সাজেক উপত্যকা বাংলাদেশের রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার অন্তর্গত সাজেক ইউনিয়নের একটি বিখ্যাত পর্যটন স্থল। কর্ণফুলী নদী থেকে উদ্ভূত সাজেক নদী থেকে সাজেক ভ্যালির নাম এসেছে। রাঙামাটির একেবারে উত্তরে অবস্থিত এই সাজেক ভ্যালিতে রয়েছে দুটি পাড়া- রুইলুই এবং কংলাক।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত - চট্রগ্রাম
কক্সবাজার বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত একটি শহর, মৎস্য বন্দর এবং পর্যটন কেন্দ্র। এটি চট্রগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার জেলার সদর দপ্তরে অবস্থিত। কক্সবাজার তার নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যের জন্য বিখ্যাত। এখানে রয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম অবিচ্ছিন্ন প্রাকৃতিক বালুময় সমুদ্র সৈকত, যা ১২২ কি.মি. পর্যন্ত প্রসারিত।………..বিস্তারিত
বিছানাকান্দি - সিলেট
বিছনাকান্দি বাংলাদেশের সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলায় অবস্থিত রুস্তমপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামের মধ্যে অবস্থিত।বিছানাকান্দি পর্যটন এলাকাটি মূলত একটি পাথর কোয়েরি যেখানে নদী থেকে পাথর সংগ্রহ করা হয়। এই জায়গায় খাসিয়া পর্বতের বিভিন্ন স্তর এসে একবিন্দুতে মিলিত হয়ে একটি হ্রদের সৃষ্টি করেছে।………বিস্তারিত
সুন্দরবন - সাতক্ষীরা, খুলনা
নীলগিরি - বান্দারবান
নীলগিরি পর্যটন কেন্দ্র বাংলাদেশের বান্দারবান জেলায় নীলগিরি পাহাড়চূড়ায় অবস্থিত, বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২২০০ ফুট উচ্চে অবস্থানের কারণে নীলগিরি পর্যটন কেন্দ্র সর্বদা মেঘমণ্ডিত আর এটাই এই পর্যটন কেন্দ্রের বিশেষ আকর্ষণ। বান্দরবানের আলীকদম থেকে থানচীগামী রাস্তা ধরে পাহাড়ী পথে নীলগিরি পৌঁছানো যায়।
শ্রীমঙ্গল চা বাগান- সিলেট
শ্রীমঙ্গল চায়ের রাজধানী খ্যাত এই অঞ্চল বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত একটি উপজেলা যা সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তের ১৮৪.২৯ বর্গকিলোমিটার (৭১.১৫ বর্গমাইল) অঞ্চল জুড়ে রয়েছে চা বাগান। দেশের ১৬৩টি চা বাগানের মধ্যে এ উপজেলায় ৪০ টি চা বাগান।
কুয়াকাটা - পটুয়াখালী, বরিশাল
কুয়াকাটা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একটি সমুদ্র সৈকত ও পর্যটনকেন্দ্র। পর্যটকদের কাছে কুয়াকাটা “সাগর কন্যা” হিসেবে পরিচিত। ১৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সৈকত বিশিষ্ট কুয়াকাটা বাংলাদেশের অন্যতম নৈসর্গিক সমুদ্র সৈকত। এটি বাংলাদেশের একমাত্র সৈকত যেখান থেকে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দুটোই দেখা যায়।
হাম হাম জলপ্রপাত - সিলেট
হামহাম বা চিতা ঝর্ণা বাংলাদেশের মৌলভীবাজার-জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার রাজকান্দি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গভীরে কুরমা বন বিট এলাকায় অবস্থিত একটি প্রাকৃতিক জলপ্রপাত বা ঝরণা। জলপ্রপাতটি ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের শেষাংশে পর্যটন গাইড শ্যামল দেববর্মার সাথে দুর্গম জঙ্গলে ঘোরা একদল পর্যটক আবিষ্কার করেন।
নিকলী, মিঠামইন হাওর - কিশোরগঞ্জ
বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলার অন্তর্গত নিকলী ও মিঠামইন উপজেলাতে অবস্থিত হওয়ায় এই জেলার নাম অনুসারে নিকলী ও মিঠামইন হাওর নাম করণ করা হয়। দেশের অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ কিশোরগঞ্জের নিকলী মিঠামইনে বর্ষা মৌসুমে হাওরের অপরূপ সৌন্দর্য দেখার জন্য পর্যটকরা ভিড় করেন প্রতিদিন।চারদিকে নীল পানি আর অপরূপ দৃশ্যে ঘেরা হাওর। ……….বিস্তারিত
Top Destination in Bangladesh (Artificial)
কাপ্তাই হ্রদ - রাঙ্গামাটি
কাপ্তাই হ্রদ বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের রাঙ্গামাটি জেলার একটি কৃত্রিম হ্রদ। কর্ণফুলি পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ১৯৫৬ সালে কর্ণফুলি নদীর উপর কাপ্তাই বাঁধ নির্মাণ করা হলে রাঙামাটি জেলার ৫৪ হাজার একর কৃষি জমি ডুবে যায় এবং এ হ্রদের সৃষ্টি হয়। এই লেকের উপর রয়েছে বিখ্যাত ঝুলন্ত ব্রীজ। লেকের দুই ধারই পাহাড়-টিলা দিয়ে ঘেরা।
ফয়েজ হ্রদ - পাহাড়তলী, চট্রগ্রাম
ফয়েজ হ্রদ বা Foy’s Lake চট্রগ্রামের পাহাড়তলী এলাকায় অবস্থিত একটি কৃত্রিম হ্রদ। এটি ১৯২৪ সালে আসাম বেঙ্গল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে খনন করা হয় এবং সেসময় পাহাড়তলী লেক হিসেবে পরিচিত ছিল। পরবর্তীতে ইংরেজ রেল প্রকৌশলী ফয়-এর (Foy) নামে ফয়েজ লেক নামকরণ করা হয়।
মহামায়া হ্রদ - মীরসরাই, চট্রগ্রাম
মহামায়া হ্রদ বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কৃত্রিম হৃদ। এর আয়তন প্রায় ১১ বর্গ কিলোমিটার। চট্রগ্রাম শহর থেকে ৪৫ কিলোমিটার উত্তরে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার ৮ নম্বর দুর্গাপুর ইউনিয়নের ঠাকুরদিঘী বাজার থেকে দেড়/দুই কিলোমিটার পূর্বে পাহাড়ের পাদদেশে এর অবস্থান।
নুহাশ পল্লী - গাজীপুর
নুহাশ পল্লী ঢাকার অদুরে গাজীপুরে গাজীপুরে অবস্থিত প্রয়াত বাংলাদেশি কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের বাগানবাড়ী। নুহাশ পল্লীতে প্রবেশের পর মাঠ ধরে সামনে এগিয়ে হাতের বাঁ-পাশে শেফালি গাছের নীচে একটি নামাজের ঘর রয়েছে। এর পাশে তিনটি পুরনো লিচুগাছ নিয়ে একটি ছোট্ট বাগান রয়েছে। লিচু বাগানের উত্তর পাশে জাম বাগান আর দক্ষিণে আম বাগান। ওই লিচুগাছের নিচে হুমায়ূন আহমেদের সমাধি অবস্থিত।
নন্দন পার্ক - সাভার, ঢাকা
নন্দন পার্ক বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অদূরে সাভার উপজেলায় অবস্থিত একটি বিনোদন কেন্দ্র। এটি বাংলাদেশের বৃহত্তম বিনোদনমূলক পার্ক। আশুলিয়া থানার নবীনগরে চন্দ্রা মহাসড়কের পাশে বাড়ইপাড়া এলাকায় এর অবস্থান। ১৩৫ বিঘা আয়তনের মনোরম এই পার্কটি যুক্তরাজ্য থেকে প্রযুক্তি ও ডিজাইন নিয়ে ভারতের নিকো পার্কের সহায়তায় নির্মিত হয়েছে।
ফ্যান্টাসি কিংডম - আশুলিয়া, ঢাকা
ফ্যান্টাসি কিংডম থিম পার্ক, মূলত ফ্যান্টাসি কিংডম নামেই পরিচিত বাংলাদেশের ঢাকার অদূরে আশুলিয়া থানার জামগড়া এলাকায় অবস্থিত একটি বিনোদন পার্ক। ফ্যান্টাসি কিংডম ২০০২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি ইং তারিখে প্রতিষ্ঠিত হয়। যা কনকর্ড গ্রুপের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান। থিম পার্কটি প্রায় ২০ একর জায়গা জুড়ে অবস্থিত, যার মধ্যে একটি থিম পার্ক, একটি ওয়াটার পার্ক, শুষ্ক পার্ক এবং হেরিটেজ কর্নার রয়েছে।
Top Destination in Bangladesh (Heritage)
লালবাগ কেল্লা - ঢাকা
লালবাগের কেল্লা (কিলা আওরঙ্গবাদ) ঢাকার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বুড়িগঙ্গা নদির তীরে অবস্থিত একটি অসমাপ্ত মুঘল দুর্গ। এটির নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল ১৬৭৮ সালে, মুঘল সুবাদার মুহাম্মদ আজম শাহ কর্তৃক, যিনি ছিলেন সম্রাট আওরঙ্গজেবের পুত্র এবং পরবর্তীতে নিজেও সম্রাট পদপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। তার উত্তরসুরী, মুঘল সুবাদার শাহেস্তা খাঁ ১৬৮০ সালে নির্মাণকাজ পুনরায় শুরু করেন, কিন্তু শেষ করেননি।
ষাট গম্বুজ মসজিদ - বাগেরহাট, খুলনা
অতুলনীয় নকশায় সমৃদ্ধ করেছে বাগেরহাটের ষাট গম্বুজ মসজিদ। ষাট গম্বুজ মসজিদ বাংলাদেশের বাগেরহাট শহর থেকে মাত্র ৭ কিলোমিটার দূরে খুলনা-বাগেরহাট মহাসড়কের উত্তর পাশে ষাটগম্বুজ বাস স্টপেজ সুন্দরঘোনা গ্রামে অবস্থিত। বাগেরহাটের নামের সাথে “ষাটগুম্বজ“ মসজিদটি যেন আষ্টেপৃষ্ঠে মিলে মিশে একাকার হয়ে রয়েছে। এই মসজিদটি এখন বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ। ………..বিস্তারিত
মহাস্থানগড় - বগুড়া
মহাস্থানগড় বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রাচীন পুরাকীর্তি। প্রসিদ্ধ এই গরী ইতিহাসে পণ্ড্রবর্ধন বা পুণ্ড্রনগর নামেও পরিচিত ছিল। এক সময় মহাস্থানগড় বাংলার রাজধানী ছিল। যিশু খ্রিষ্টের জন্মেরও আগে অর্থাৎ প্রায় আড়াই হাজার বছর পূর্বে এখানে সভ্য জনপদ গড়ে উঠেছিল প্রত্নতাত্ত্বিক ভাবেই তার প্রমাণ মিলেছে। ২০১৬ সালে এটি সার্কের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে ঘোষণা হয়।
জগদ্দল মহাবিহার - নওগাঁ
জগদ্দল মহাবিহার বাংলাদেশের নওগাঁ জেলার ধামুরহাট উপজেলার একটি প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান।এটি উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৮ কি.মি. উত্তর-পূর্বে এবং মঙ্গলবাড়ি থেকে ৬ কি.মি উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত।নওগাঁ জেলার ধামুইরহাট থানার জয়পুর-ধামুইরহাট সড়কের উত্তর দিকে অবস্থিত এই প্রাচীন কীর্তি। বর্তমানে স্থানীয় জনগণ এটিকে বটকৃষ্ণ রায় নামক এক জন জমিদারের বাড়ির ধ্বংসাবশেষ বলে মনে করে।
পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার - নওগাঁ
পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার বা সোমপুর বিহার বা সোমপুর মহাবিহার বর্তমানে ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার। পালবংশের দ্বিতীয় রাজা শ্রী ধর্মপাল দেব (৭৮১-৮২১) অষ্টম শতকের শেষের দিকে বা নবম শতকে এই বিহার তৈরি করছিলেন। ১৮৭৯ খ্রিস্টাব্দে স্যার আলেকজান্ডার কানিংহাম এই বিশাল স্থাপনা আবিষ্কার করেন। ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দে ইউনেস্কো এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের স্বীকৃতি প্রদান করে।
সোনারগাঁও - নারায়ণগঞ্জ
সোনারগাঁও বাংলার মুসলিম শাসকদের অধীনে পূর্ববঙ্গের একটি প্রশাসনিক কেন্দ্র। এটি বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ জেলার একটি উপজেলা। এর অবস্থান ঢাকা থেকে ২৭ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে। মধ্যযুগীয় নগরটির যথার্থ অবস্থান নির্দেশ করা কঠিন। বিক্ষিপ্ত নিদর্শনাদি থেকে প্রতীয়মান হয় যে, এটির পূর্বে মেঘনা, পশ্চিমে শীতলক্ষ্যা, দক্ষিণে ধলেশ্বরী ও উত্তরে ব্রহ্মপুত্র নদ দ্বারা বেষ্টিত একটি বিস্তৃত জনপদ ছিল।